“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

শো- ম্যান কুঁজ

।।অভীককুমার দে।।

হে অর্জুন, দাস হয়ে কেন ! এত শুভেচ্ছার কী প্রয়োজন ? যিনি অকৃতজ্ঞ তার আবার ত্রিকালের সমগ্রতায় সাধ কেন ! তিন শতাব্দীর খবর জানেন না যিনি ত্রিকালদর্শী ! হনুমান হবার ইচ্ছে জেগেছে বুঝি ?
হে অর্জুন, তুমিও বোঝো, শো- ম্যান নিজেই কুঁজ, প্রদর্শনী। মরার অমরত্ব হয় না, অমরত্ব হয় কাজের।
হে অর্জুন, দাসত্ব কেন !  চোখ ভেদ করার যুগ নেই এখন। তীরন্দাজী করতে হলে লক্ষ্যভেদ জানতে হবে। ত্রিকাল নিয়ে গেছে সত্য ত্রেতা দ্বাপর। এখন কলি। পায়ে পায়ে কৃতজ্ঞ খোঁজার চেয়ে মহাপ্রভুর মত দুহাত উপরে তুলে পথ খুঁজুন, অন্ততপক্ষে কুরুক্ষেত্রের মত যুদ্ধ হবে না।
হে অর্জুন, কলির লোভ গিলে অন্ধ হয়ে গেলেন ? বিবেকের কোথাও বিন্দুমাত্র আলো যদি থাকে, দেখুন-- শো- ম্যান কুঁজ ত্রিকালদর্শী নয়, সাধকও না। প্রদর্শনীর ভেতর নিজেও দৃশ্যমান নৈবেদ্য, আপনার মতই।

কোন মন্তব্য নেই: