“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯

জন্মাষ্টমী

             রফিক উদ্দিন লস্কর

আজ তিথি জন্মাষ্টমী তাই মহা ধূমধাম,
শোভিত মন্দির আর ভক্তের কৃষ্ণনাম।
পাড়ার এয়োরা উপবাসী সমস্ত দিন,
আপনমনে কৃষ্ণধ্যান, কৃষ্ণনামে লীন।
দৈববাণী হয়েছিলো কংস নরপতিরে,
দৈবকীর অষ্টম গর্ভজাত বধিবে তারে।
রাতদিন কংস রাজা চিন্তিত অন্তরে,
কবে অশনিসংকেত দৈবকীর উদরে।
লৌহ আবেষ্টনীতে কংসের কারাগার,
বন্দি দৈবকী তাতে, আছে পাহারাদার।
ঘুমের আবেশে যখন কারারক্ষীগণ,
দৈবকির কোল আলো শ্রীকৃষ্ণ তখন।
কৃষ্ণ যখন জন্ম লভে কংস কারাগারে,
স্বর্গ হইতে দেবগণে পুষ্প বৃষ্টি করে।
জনক বসুদেব ছিলেন চিন্তায় মগন,
কি করে রক্ষিবেন প্রাণের কৃষ্ণধন।
অঝোরে বরিষা ঝরে রাত্রি অন্ধকার,
বসুকি তার সহস্র ফণা করে বিস্তার।
পাশবিক সকল শক্তি করিতে দমন,
স্বর্গ হতে দ্বাপর যুগে হলো আগমণ।
যমুনা পারাপারে আসেন শৃগাল বাহন,
যশোদার কাছে কৃষ্ণকে করতে অর্পণ।

কোন মন্তব্য নেই: