“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

যে ঠাকুর,জমিন-দার

 ।। সপ্তর্ষি বিশ্বাস।।

(C) সৌজন্য


কবি ওমপ্রকাশ বাল্মিকী র " ঠাকুর কা কুঁয়া" র ছায়ায় ]
—- –--- 
চুলা মাটির। মাটিপুকুর
ছেনে তোলা। পুকুর
কারযে ঠাকুর,
জমিন-দার।
#
ক্ষুধা রুটির। রুটি আটার। কার
আটাআটার ক্ষেতপুকুর
যার। যে ঠাকুর,
জমিন-দার।
#
বলদহালজোতখামার
সবই তাঁরপুকুর
যার। যে ঠাকুর,
জমিন-দার।
লাঙ্গলও তাঁরকেবল ঘাম,
রক্তখাটা —- হে আমারহে
তোমার। এবং শেষে
ফসল কারসবই তাঁরপুকুর
যার। যে ঠাকুর,
জমিন-দার।
#
পানি ও জলশস্যাগার,
এবং পাড়ারাস্তাঘাট
সবই তাঁরপুকুর
যার। যে ঠাকুর,
জমিন-দার।
তাইলে বাকি
সব আমার
গ্রামশহরদেশটি আর
দেশের ভার?
দশের ভার?
—-
সপ্তর্ষি বিশ্বাস 
০৩/১০/ ২০২৩
[https://amarsonarbanglaamitomaybhalobasi.blogspot.com/2023/10/blog-post.html?m=1]





 


কোন মন্তব্য নেই: