“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

যৌবনের রক্তক্ষরণ

।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।

 




















কৈশোর হারিয়ে কোন এক যৌবন
আঁকড়ে ধরে পৈত্রিক শৈশব
মনকে জন্ম না দিয়ে।
কারখানা মালিকের সুইচে
মেশিন চালু হয়,
কাজ চলে রাত-বিরেতে।
মাঝপথে মালিকের স্বৈরাচারী ইচ্ছে-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অটোমেশন।
মানুষের চাহিদা কাজের,
শ্রমিকের দাবী যোগ্য মজুরী।
ইচ্ছেদাবীতে
মন থেকে মানুষ বিয়োগ হয়
যন্ত্রপাতি যোগ হয় সদম্ভে।
মুনাফার উচ্চতা দিয়ে
জ্বালামুখ অহংকার বেরোয়।
অন্তর্দহনে গলিত ধাতব প্রবাহ
লোকালয় থেকে গাছপালা নিশ্চিহ্ন করে।
শেষ সময় হয়তো আবারও
মন ফিরবে সাম্যের হাতে।
যন্ত্রের আদরছোঁয়ায়
টলটল ভালোবাসা
গড়িয়ে পড়বে সমতলে। 

কোন মন্তব্য নেই: