“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩

প্রিয় কমরেড


 



















।। মিঠুন ভট্টাচার্য 

আমার পলাশ রাঙা ভোরের মিছিলে
তুমি পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে
তোমার আমার যৌবন উদযাপনে।
আমার অগুন্তি ব্যর্থ প্রেমের ভাষনে
তোমার মেঘ কালো চোখ
সমুদ্র বৃষ্টি চান সেরেছে অনেক।
অম্লান রোদের ঝিলিকে
সূর্যাস্ত নামেনি,
তুমি সন্ধ্যে ভালোবাসো না বলে।
চাঁদের মায়াবী রাত
তোমায় স্বপ্নে ভাসায়।
তাই চন্দ্র সূর্য তারার আকাশ
সবুজ ধানের গায়ে হলুদ মাখায় সাদা আবহে।
আমরা আবারো নতুন ঘরে
বাসর জাগবো
হাতে হাত রেখে
উদার হৃদয়ের আলিঙ্গনে,
দৃড়চেতনার সন্ধিক্ষণে।


রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

যৌবনের রক্তক্ষরণ

।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।

 




















কৈশোর হারিয়ে কোন এক যৌবন
আঁকড়ে ধরে পৈত্রিক শৈশব
মনকে জন্ম না দিয়ে।
কারখানা মালিকের সুইচে
মেশিন চালু হয়,
কাজ চলে রাত-বিরেতে।
মাঝপথে মালিকের স্বৈরাচারী ইচ্ছে-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অটোমেশন।
মানুষের চাহিদা কাজের,
শ্রমিকের দাবী যোগ্য মজুরী।
ইচ্ছেদাবীতে
মন থেকে মানুষ বিয়োগ হয়
যন্ত্রপাতি যোগ হয় সদম্ভে।
মুনাফার উচ্চতা দিয়ে
জ্বালামুখ অহংকার বেরোয়।
অন্তর্দহনে গলিত ধাতব প্রবাহ
লোকালয় থেকে গাছপালা নিশ্চিহ্ন করে।
শেষ সময় হয়তো আবারও
মন ফিরবে সাম্যের হাতে।
যন্ত্রের আদরছোঁয়ায়
টলটল ভালোবাসা
গড়িয়ে পড়বে সমতলে। 

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৩

শিরোনাম


'মজলিস আক্রান্ত ভিটায়'
দৈনিকের সকালের হেডলাইন

আমাদের ঘর ভাঙা হয় নি
ভাঙা হয়নি হাড়,মন
বা হইনি উচ্ছেদ - উদ্বাস্তুও

এসবের মানে অবিধানেই থাক

আজীবন হালচষা, চৌদ্দপুরুষের ক্ষেতে
আগাছা নিড়িয়ে রোপা সুগন্ধের শস্য,
আর চোখের সামনে
রহিমার ভিটেটুকু বেদখল আজ।

আগামীকাল আরও একটা নতুন ভোর হবে
সূর্য উঠবে, ঘর ভাঙবে, আশ্রয় মিলবে
কোন এক গাছের নিচে বা 
অন্ধকার জানালাহীন, ভেন্টিলেটরহীন কোন এক ঘরে

শীতে ঘুম সবারই হয়
আমারও হয়
কারো কম্বল মোড়ে রুম হিটারে
কারো বা খোলা আকাশের নিচে।।