তোমাকে বলছি, স্বাধীনতা।
-আ,ফ,ম, ইকবাল॥
স্বাধীনতা-
মখমলের শুভ্র পোশাক পরিহিতা স্বাধীনতা- কেমন চিত্তাকর্ষক তুমি!
কত বিস্তৃত তবে ঝলসানো ডানা!
স্বাধীনতা- পনেরোর রাজপথে
বিন্যস্ত মিছিলে তোমার পরিচয়?
স্বাধীনতা- উচ্চাঙ্গ অভিভাষনে
স্মরণ তোমারে অবশ্যই হয়।
স্বাধীনতা-
একটি শব্দ মাত্র নয়,
স্বাধীনতা- অখন্ড আকাশে
খন্ড খন্ড মেঘে কি হয়
তোমার আত্মপরিচয়?
প্রদীপ্ত আকাশখানা
কখনো যে ঢাকা পড়ে রয়-
বিশাল ছাদের তলায়
বিমর্ষ জনতাকে দেখে
কেন যেন আমার অন্য কিছু মনে হয়!
স্বাধীনতা- কথা ছিল তেরঙ্গায় মোড়ে
পৌঁছে দেয়া হবে ঘরে ঘরে-
ক্ষুধিতের অন্ন,
বঞ্চিতের বাঞ্ছিত আবরণ,
ঘুরবেনা পথে পথে
উলঙ্গ বেদনা, ক্ষুধা, ঘৃণা
হরেক প্রকারের রক্তিম বেদনা।
স্বাধীনতা-
তোমার পোশাক পরা হবে সার্থক
যখন জননীর নাভিমূল থেকে
মুছে যাবে সকল ক্ষতচিহ্ন!
ফুটবে কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী হরেক দাওয়ায়
স্বপ্নের গোলাপ পাপড়িতে
নিভৃতে মধুকর করবে গুঞ্জন!
বলি তাই স্বাধীনতা-
তুমি দীর্ঘজীবী হও,
বেঁচে থাকো আমার অস্তিত্বে
আমার ভালোবাসার পরিমণ্ডলে,
ফুটন্ত রক্তকরবীর ডালে ডালে;
একদিন আমরা মানুষ হবো,
মানবিক চিত্তে জড়িয়ে নেবো তোমায়
নিষ্কলুষ জননীর বিনয়ী সন্তান-সম।
পনেরোই আগস্ট, ২৯২১।
হাফলং, আসাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন