“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১

তোমাকে বলছি, স্বাধীনতা।

তোমাকে বলছি, স্বাধীনতা। 
         -আ,ফ,ম,  ইকবাল॥ 

স্বাধীনতা- 
মখমলের শুভ্র পোশাক পরিহিতা স্বাধীনতা-  কেমন চিত্তাকর্ষক তুমি!  
কত বিস্তৃত তবে ঝলসানো ডানা!  
স্বাধীনতা- পনেরোর রাজপথে  
বিন্যস্ত মিছিলে তোমার পরিচয়?   
স্বাধীনতা- উচ্চাঙ্গ অভিভাষনে 
স্মরণ তোমারে অবশ্যই হয়। 

স্বাধীনতা-
একটি শব্দ মাত্র নয়, 
স্বাধীনতা- অখন্ড আকাশে  
খন্ড খন্ড মেঘে কি হয়  
তোমার আত্মপরিচয়?  
প্রদীপ্ত আকাশখানা  
কখনো যে ঢাকা পড়ে রয়-  
বিশাল ছাদের তলায়  
বিমর্ষ জনতাকে দেখে  
কেন যেন আমার অন্য কিছু মনে হয়! 

স্বাধীনতা- কথা ছিল তেরঙ্গায় মোড়ে  
পৌঁছে দেয়া হবে ঘরে ঘরে-  
ক্ষুধিতের অন্ন,   
বঞ্চিতের বাঞ্ছিত আবরণ,  
ঘুরবেনা পথে পথে  
উলঙ্গ বেদনা, ক্ষুধা, ঘৃণা  
হরেক প্রকারের রক্তিম বেদনা। 

স্বাধীনতা-  
তোমার পোশাক পরা হবে সার্থক  
যখন জননীর নাভিমূল থেকে  
মুছে যাবে সকল ক্ষতচিহ্ন!  
ফুটবে কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী হরেক দাওয়ায়  
স্বপ্নের গোলাপ পাপড়িতে  
নিভৃতে মধুকর করবে গুঞ্জন! 

বলি তাই স্বাধীনতা-  
তুমি দীর্ঘজীবী হও,  
বেঁচে থাকো আমার অস্তিত্বে  
আমার ভালোবাসার পরিমণ্ডলে, 
ফুটন্ত রক্তকরবীর ডালে ডালে; 
একদিন আমরা মানুষ হবো,  
মানবিক চিত্তে জড়িয়ে নেবো তোমায়  
নিষ্কলুষ জননীর বিনয়ী সন্তান-সম। 
            পনেরোই আগস্ট, ২৯২১। 
            হাফলং, আসাম।

কোন মন্তব্য নেই: