নামে কি আসে-যায়? —- নামেই আসে-যায়। – একটি আবেদন
নামে কি আসে-যায়? —- নামেই আসে-যায়।
নামেই আসে-যায় কারন গোলাপ কে যে নামেই ডাকা হোক, সে গোলাপ থাকলেও, কেন, যে পাড়ায় অনেক গোলাপ গাছ, বাগান, চাষ, সে পাড়ার নাম —- “গোলাপ পাড়া” না “রোজ স্ট্রিট” নিয়ে তর্ক ওঠে? ঝগড়া বাঁধে? এবং অন্তিমে, সেই ঝগড়ায় জয় কাদের হয়? কেন হয়? কেন নাজি বা নাৎসীরা, একদা, বদলে দিয়েছিল অসংখ্য স্থান-নাম? যেমন পূর্ব প্রুশিয়া’তে ১৯৩৮ সালে ১৫০০-এরও বেশি স্থান নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। জার্মানি এবং দখলকৃত অঞ্চলগুলির শহরগুলির অনেক রাস্তা এবং চত্বর নাৎসি নেতাদের সম্মানে এবং যুদ্ধ করতে গিয়ে অক্কা পাওয়া বড় সব জার্মান অফিসারদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। উদাহরণ : অ্যাডল্ফ হিটলার, হারম্যান গোরিং, হর্স্ট ওয়েসেল ইত্যাদি। বিভিন্ন রাস্তা এবং চত্বর অ্যাডল্ফ হিটলারের নামে নামকরণ করা তো হয়েইছিল।
কিন্তু কেন?
উত্তরে যদি বলি, এই পরিবর্তনগুলি নাৎসীদের দ্বারা দখলীকৃত ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে, তাদের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ আরোপের ব্যাপক কৌশলের অংশ ছিল। লক্ষ্য ছিল নাৎসীদের মতাদর্শ প্রচার করা এবং অ-জার্মান সমস্ত কিছু মুছে ফেলা। লক্ষ্য করা যায়, বদলে-ফেলার আগে, সেই নামগুলি ছিল পুরানো প্রুশিয়ান, লিথুয়ানিয়ান এবং পোলিশ উত্সের। – এভাবে বললে হয়তো বলাটি বেশ ভারী হয় কিন্তু বোধ্যতা তাতে কমে যায়। যেতে বাধ্য। বরং ফিরে যাই সেই “গোলাপ পাড়া” র গল্পে।
ধরা যাক গোলাপ পাড়া’র বাসিন্দারা ছিল গোলাপ-চাষী। তিন পুরুষ ধরে কিংবা সাত পুরুষ ধরে। অতঃপর গোলাপের সৌরভে, সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে, প্রমোটার বাবুগণ, কিছু-জন গোলাপ-চাষীকে পটিয়ে, কিছু-জন কে ভয় দেখিয়ে “কব্জা” করে নিলো খানিকটা জমি আর তাতে তুল্লো তল্লাটের প্রথম ফ্ল্যাটবাড়িটি যেখানে খোপ-কোঠা কিনে বাস করতে এলেন গোলাপ-মাধুর্য্যে মাতোয়ারা উচ্চ ও মধ্য মধ্যবিত্তের দল যাঁদের আয়ের উৎস – চাকুরী, ব্যবসায় অথবা দালালি, যাঁদের বাক্যে, ভুলে-শুদ্ধে ইংরেজি মিশে গিয়েছে। “গোলাপ পাড়া” র না্ম “রোজ স্ট্রীট” হ’লে বেশি ভালো হয় কেননা অমুক অমুক দেশে রয়েছে এমতো স্ট্রীট-নাম – এই প্রস্তাবটি আসবে ওই বাবুদের নিকট থেকেই। কিন্তু প্রস্তাবটি ততোক্ষন জোরালো হবেনা যতোক্ষন না গোলাপ-প্রিয় প্রোমোটার দিগের দ্বারা আরও কিছু গোলাপ-জমি গ্রাস করে তাতে আরো কিছু ফ্ল্যাট না ওঠে। অর্থাৎ যে মুহুর্তে “কোয়ান্টিটি” ভারি হতে আরম্ভ হবে - উচ্চ ও মধ্য মধ্যবিত্তের দল যাঁদের আয়ের উৎস – চাকুরী, ব্যবসায় অথবা দালালি – তাদের —- তখনই “রোজ স্ট্রীট” বনাম “গোলাপ পাড়া” ঝগড়ার পরণতি যাবে “রোজ স্ট্রিট” এর পক্ষে। পক্ষান্তরে, যদি একটি আজগুবি পরিস্থিতির কথা ভাবা যায়, যেমন থাকে “ডিসডোপিয়ান” ওয়েব-সিরিজ গুলিতে, যে, এই “রোজ স্ট্রীট” এ একদিন ফিরে এলো সব সাবেক গোলাপ-চাষীরা এবং সেই পাড়াতে বাসও করতে লাগলো, তখন, কোয়ান্টিটি’র ভারে, আবারো “গোলাপ-রোজ” দরবার নিশ্চিত এবং এবারে নিষ্পত্তি যে “গোলাপ পাড়া”র পক্ষেই যাবে, এ’ও নিশ্চিত।
অর্থাৎ, স্থান-নামের পরিবর্তন আদতে ক্ষমতারই প্রদর্শন, নিদর্শন। ক্ষমতা প্রদর্শনের এই প্রতীকী খেলাতে জয় তারই হয়, যার হাতে ক্ষমতা। আরো স্পষ্ট করে বললে, রাজনৈতিক ক্ষমতা যার, সে’ই এই খেলাতে জেতে। এইহেতুই উপনিবেশ গুলিতে স্থান-নাম,রাস্তা-নাম – হয় ঔপনিবেশিক দের নামে, যেমন “বেন্টিংক্ট স্ট্রিট”। আর তাদের বিকৃত উচ্চারনে “নেটিভ” নাম, যথা, বর্ধমান হয়ে যায় “বড়ডোয়ান”। — এই সমস্তই ঔপনিবেশিক ক্ষমতার প্রতীকী প্রদর্শন। আমাদের “গোলাপ পাড়া” গপ্পে, গোলাপ-চাষীদের পাড়ায় উঠে আসা পেটি বুর্জোয়া বাবুরা ওই ঔপনিবেশিকদের ভূমিকাটি পালন করেন এবং পালন করতে সক্ষম তখনই হন, যখন, তল্লাটের রাজনৈতিক ক্ষমতাধারীরা এসে দাঁড়ায়, অবশ্যই তাদের নিজস্ব স্বার্থে, ভোটবাজি ইত্যাদির দরকারে।
অর্থ হয়, স্থান-নাম বদলের এই খেলা শুধুমাত্র ক্ষমতারই। ক্ষমতার নগ্ন প্রদর্শন কে গ্রহনযোগ্য করে হাজির করতে, ক্ষমতাসীনেরা ইতিহাস, সাহিত্য থেকে ধর্ম – যে কোনো অজুহাত বেছে নেয়, নিতে পারে, নিয়েছে, নিচ্ছে আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই আদত সাহিত্য,ইতিহাস বা ধর্ম-পুঁথি’কে তারা বিকৃত করেছে। কাজেই, ২০২৪ সালে যখন রবীন্দ্রনাথের কবিতাকে, উক্তিকে বিকৃত করা হয়, তখন আশ্চর্য হইনা। ভীত হই। ভীত হই, কেননা – যাঁরা সরিষার থেকে তেল নিঙড়ে নেওয়ার কাজটি করতেন, তাঁদের পাড়ার নাম, স্বাভাবিক ভাবেই, তেলীপাড়া, যাঁরা ফুলের কারবার করতেন, অর্থাৎ মালী, তাঁদের পাড়ার নাম মালীপাড়া – স্বাভাবিক ভাবেই। লঙ্গাই নামক নদীর কিনারে যে পাড়া, তার নামও হয়েছিল ‘লঙ্গাই রোড”। অবলীল। – এইবার ‘মালী পাড়া’ নাম বদলে দিয়ে, ক্ষমতাসীনেরা “সারদা পল্লী” করে দিলে, আদতে যা দাঁড়ায়, তা, ওই “মালী” নামক জীবিকা যাঁদের বা ওই জীবিকা যাঁদের পূর্ব পুরুষের – তাঁদের সক্কলকে এক কথায় নাকচ করে দেওয়া। এর দ্বারা না’ত হয় রামকৃষ্ণ-পত্নী সারদাদেবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, না অন্য কিছু। ঠিক যেভাবে লঙাই নদীর পাড়ের পাড়া লঙ্গাই রোড কে “সৎসঙ্গ রোড” করে দেওয়া। – এই সমস্তই আদতে আগ্রাসন। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। এবং আরেকটি তলিয়ে দেখলেই দেখা যাবে, নাৎসীরা যেমন পুরানো প্রুশিয়ান, লিথুয়ানিয়ান এবং পোলিশ উত্সের দিকে চালিয়েছিল তাদের সার্বিক আগ্রাসনের বুলডোজার, তেমনি, এই দেশ ভারতবর্ষে আগ্রাসনের শিকার অ-হিন্দু জনগোষ্ঠী আর স্থান নাম বদলেও তা’ই প্রতিভাত।
এখানে অ্যান্টোনিও গ্রামসি-র সাংস্কৃতিক আধিপত্যের ধারণার কথাটি অতি সংক্ষেপে বলে রাখছি কেননা এ’টি এই আগ্রাসনের চরিত্রকে বুঝে নিতে খুবই জরুরী। ইতিহাসকে মার্ক্সবাদী পন্থায় বিশ্লেষণ করে গ্রামসি দেখিয়েছেন, যে, শাসক শ্রেণি শুধু রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নয়, সাংস্কৃতিক ঐক্যমত্য তৈরির মাধ্যমেও ক্ষমতা বজায় রাখে । তাদের আধিপত্যের সমর্থনে তারা নানা রকম গপ্পো, ধারনা নির্মাণ করে এবং ছড়িয়ে দেয়। ফলে, এক সময় জনতা শাসক শ্রেণির মতাদর্শকেই স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং অনিবার্য বলে মনে করতে বাধ্য হয়ে পড়ে।
ঠিক যেমন এই মুহুর্তে ১৮৭৬ সালে, আসাম গেজেটে, যে স্থানটিকে “করিমগঞ্জ” বলা হয়েছে, তাকে ২০২৪ এ, রাজনৈতিক স্বার্থে এবং অ-হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ভীত করতে, “শ্রীভূমি” বলে দেওয়ায়, জনতার একাংশ বাজি পোড়ান। মস্তি মারেন। মস্তি মারেন, কেননা, তাঁদের মগজে ক্রিয়াশীল শাসকশ্রেনীর বানানো গপ্পো, যা গ্রামসির ভাষায় “হেজিমনি”।
এই প্রসঙ্গে, মার্ক্সবাদী উপায়ে ইতিহাস বিশ্লেষণের দ্বারা গ্রামসী যে দ্বিতীয় কথাটি বলেন, তা এই, যে, স্থানগুলির নাম পরিবর্তন করার দ্বারা, শাসক শ্রেণি তাদের মূল্যবোধ এবং ঐতিহাসিক আখ্যানগুলিকে বৈধতা দিতে প্রয়াস পায় । পারে নিজেদের মত কে শারীরিক ভূদৃশ্যে মুদ্রণ করতে। এই প্রক্রিয়াটি তাদের শাসনকে বৈধ করতে এবং বিকল্প ইতিহাসকে অবমূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
বর্তমান ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের কবিতার অপব্যবহার তার নিদর্শন। এই অপব্যবহারের ব্যাখ্যা-বিস্তারে যাবোনা কেননা তা প্রায় সর্বজনবিদিত। শুধু প্রসেনজিৎ চৌধুরী’র নিবন্ধ “বাঙালির করিমগঞ্জ এখন শ্রীভূমি, রবীন্দ্রনাথ লিখিত শ্রীভূমি কোনটি? তিনি কেন লিখেছিলেন?” থেকে এটুকু অংশই উদ্ধার করে দিচ্ছিঃ
“রবীন্দ্রনাথ লিখিত শ্রীভূমি কোনটি? তিনি কেন লিখেছিলেন?
১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড হয়। মর্মাহত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে ‘স্যার’ উপাধি ত্যাগ করেন। এই ঘটনার মাস চারেক পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা থেকে শিলং এসেছিলেন। তখন শিলং আসামের (অসম) রাজধানী। আর এই বিভাগের তৎকালীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল সিলেট (শ্রীহট্ট)। বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ সিলেট। রবীন্দ্রনাথ শিলং এসেছেন শুনে সিলেটের ব্রাহ্মসমাজ সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দনারায়ণ সিংহ মজুমদার উদ্যোগ নেন কবিকে সিলেট দর্শন করানোর। তাঁর উদ্যোগে স্থানীয় আঞ্জুমানে ইসলাম, শ্রীহট্ট মহিলা সমিতি এবং বিভিন্ন সংগঠনের তরফেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিলং থেকে গৌহাটি (গুয়াহাটি) হয়ে পাহাড়ি রেলপথ ধরে লামডিং হয়ে সিলেটে আসেন রবীন্দ্রনাথ।
শ্রীহট্ট তথা সিলেটের প্রাকৃতিক শোভা ও বড় সংখ্যায় উচ্চশিক্ষিত বাংলাভাষীদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন-
“মমতাবিহীন কালস্রোতে
বাঙলার রাষ্ট্রসীমা হোতে
নির্বাসিতা তুমি সুন্দরী শ্রীভূমি।
ভারতী আপন পুণ্যহাতে
বাঙালীর হৃদয়ের সাথে
বাণীমাল্য দিয়া
বাঁধে তব হিয়া।
সে বাঁধনে চিরদিন তরে তব কাছে
বাঙলার আশীর্বাদ গাঁথা হয়ে আছে।’’
রবীন্দ্রনাথের সিলেট ভ্রমণের স্মারক গ্রন্থ ১৯৪১ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইতে সিলেট সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তে লিখিত ‘কবি প্রণাম’ এবং নামে স্বাক্ষরিত ছিল কবিতাটি। এই কবিতায় লেখা ‘শ্রীভূমি’ শব্দটি অসমের করিমগঞ্জ জেলার নতুন নাম হিসেবে সে রাজ্যের সরকার আনল।” [ সূত্রঃ https://kolkata24x7.in/india/assam-renames-karimganj-to-shreebhumi-in-honor-of-rabindranath-tagore/}
স্থান-নাম পরিবর্তনের আরো একটি হেতু, গ্রামসীর বিশ্লেষণ মতে, “বিরোধী পরিচয়গুলি মুছে ফেলা” এবং “জনস্মৃতির নিয়ন্ত্রণ”।
বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে “করিমগঞ্জ” শব্দটি, জনমানসে যে অ-হিন্দু আমলের স্মৃতিকে জীইয়ে রাখছে, তা বররমান শাসকেরা চায় না। চায় না, কেননা “করিমগঞ্জ” অঞ্চলটির উন্নতি ও উৎকর্ষের অন্দরে অ-হিন্দুদের যে বিরাট ভূমিকা তা এরা অস্বিকার করিতে চায়। “করিমগঞ্জ” একটি শব্দবন্ধ ফার “করিম” অংশটি আরবি এবং “গঞ্জ” ফারসি। গঞ্জ অর্থ হাট। করিমগঞ্জ ছিল বড় অথবা ব্যস্ত একটি হাট – এতোদূর আন্দাজ করেছেন ইতিহাসবীদেরা। কিন্তু আরবি-ফারসি মিশে থাকায় আরো তথ্য প্রমাণের প্রয়োজন সম্পূর্ণ নামটিকে বুঝে নিতে। – কিন্তু যা স্পষ্ট, তা হলো, অ-হিন্দু প্রাধাণ্য আর একেই জনতার স্মৃতি থেকে মুছে দেওয়ার প্রয়াস শাসক শ্রেণীর। এটি মুছে দিলে, এ’ও মুছে যাবে, অচিরেই, যে, একদা করিমগঞ্জের বদরপুর, যাকে “বুন্দাশীল” বলা হতো, সেই অব্দি ছিল তুর্ক-আফগানদের শাসনাধীন ও পরে মোগল শাসনে। ফলত এই স্থানটি এবং তার ক্রমোৎকর্ষের মূল যে অ-হিন্দু শাসনে নিহিত, এই সত্যটি মুছে দিতে তৎপর, এই মুহুর্তে ভারতীয় নাৎসীরা।
এই তৎপরতা আজকের নয় আর “করিমগঞ্জ” ও নয় এই আগ্রাসনের প্রথম শিকার। এ’ও বহুজনবিদিত। তথাপি এই আবেদনটি যে লিখতে হলো, তার প্রথম হেতু, আমার নিজের নাড়ি প্রোথিত ওই করিমগঞ্জ শহরে। ফলে এই আগ্রাসন আমাকে আহত করে বেশী, ক্ষত করে গভীরতর। এই আবেদনের দ্বিতীয় হেতু, আবেদন। শুধুই আবেদন। আর
আবেদন টি খুবই সরল। যাঁরাই আমার এই ভাবনার সঙ্গে একমত, তাঁরা প্রত্যেকে এটিকে ছড়িয়ে দিন, তথাকথিত সামাজিক মাধ্যম থেকে জেরক্স, প্রিন্ট-আউট, যে কোনো ভাবে। যাঁরাই এই নাম-বদলের অন্তর্গত রাজনীতির, ক্ষমতার —- খেলাটি দেখতে পাচ্ছেন, প্রত্যেকেই চেষ্টা নিন, শাসক গোষ্ঠীর বানানো গপ্পো, ‘হেজিমনি’র দ্বারা বিভ্রান্ত সহ-নাগরিক, সহ-গ্রাম-গঞ্জ-বাসীকে যথাসাধ্য বুঝিয়ে বলার।
এই নাম বদল, এই সকল নাম-বদল, আদতে, প্রত্যেকের গালে, এই শাসক-গোষ্ঠীর এক একটি সপাট থাপ্পড়।
এই রকমের থাপ্পড় আমরা আর কতো মেনে নেবো?
চলুন, গর্জে উঠতে না পারি, অন্তত প্রতিরোধের পথে হাঁটা আরম্ভ করি। চেষ্টা নিই ব্যারীকেড গড়ার।
সপ্তর্ষি বিশ্বাস
২০ নভেম্বর ২০২৪, বেঙ্গালোর