“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অসভ্য বিবর্তন



মানুষ গোত্র বিবস্ত্র
অপমানের বর্বর ছুরিতে ।
এ্যানেস্থেশিয়া বিহীন চামড়া কেটে
জীবিত পাঠার মাংস
প্রদেশের বাজারে ঝোলানো।
লজ্জা থেকে ভয় অনেকগুন, 
ব্যাথার স্থায়িত্বে
হিরোশিমা নাগাসাকির বিক্রিয়া শৃঙ্খল।
চেনার মাঝে অচেনার আত্মঘাত।
ক্ষমতার অসীম তটে
নাগরিকতা বিসর্জনে
উন্মত্ত পুরুষ জনতা
গল্প ফাঁদে।
হাজার বুলেটের রক্ত ফিনকিতে
ভেজা পূর্বাঞ্চলের মাটি
এই শরমের রক্তস্রাব
শুষে নিতে ধরিত্রী হার্ডওয়্যার বিকল।


মিঠুন ভট্টাচার্য্য 

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আকাশের রসায়ন



ছোট ছিলাম যখন
তখন মনে হতো
রাতের আকাশে তারাগুলো
আলো জ্বেলে,
অন্ধকার হালকা করে আমার সাথে দেখা করতে আসে রোজ
আমার আপনজনের মতো।
বড়বেলায় টের পাই
ওরা  দিনের আলোর ভিড়ে ফাঁক খুজে পায় না
তাই আলোর পর্দার আড়ালে থাকে।
অন্ধকারের সুযোগে
অস্তিত্ব প্রকাশ করে
আলোছায়ায়।
এই মিথগুলো ছেকে বিজ্ঞান
তত্ব লেখে।
মন দুমড়ে কবিতা হয়।
 
©মিঠুন ভট্টাচার্য্য