“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

মনিমালা ও পোকা


একটা পোকা ভর করেছে আমার মাথার ভেতর
চিন্তা ভাবনা সব কিছুতে – প্রভাব তার জবর
পোকা আমার সর্বনাশা – পোকা আমার কালো ,
আস্তে আস্তে মুছে দিচ্ছে –আমার যা সব ভাল ।
নিজের ভাল নিজের ভাল- করে করে খেল ,
পোকা আমার চালাক ভীষণ – সব গুঁটিয়ে নিল ।
ছোট পরিবার সুখি পরিবার – পোকার লাগে ভাল ,
সমষ্টিতে অবিশ্বাসী - পোকা খবর দিল ।
সিঁড়ি ভাঙ্গার মন্ত্র দিল – উঠতে হবে উপর ,
কোন বাঁধাই মানবে না- শাসায় পোকা জবর ।
দিনের বেলা খাটুনি – আর রাতে অবসাদ ,
পোকা বলে লেগে থাক- নইলে বরবাদ ।
পোকার থেকে বাঁচিয়ে যাই – যত্নে মনিমালা ,
পোকা এসে কড়া নাড়ে – বাড়ায় ঝামেলা ।
তবু পোকা বলছি তোমায় – হয়নি সব ই শেষ ,
জেগে উঠবে একদিন – আমার অবশেষ ।
ছেড়ে যাব সব কিছু – তোমায় বন্দি করে ,
ঈশানের পুঞ্জ মেঘে – মনিমালা হাত নাড়ে ।

কোন মন্তব্য নেই: