“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮

আমি একটি নদী বহন করি

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি






মি একটি নদী বহন করি,
যতই স্থির- অস্থির উপর উপর চলন যেমন
চলার মতোই এক ঢালু পথ।
ধর্ম গতির।
ঋতুর গলন।
জলীয়চলন।
নিম্নমুখী নদীকে দেখলে মনে হয়--
স্বর্গহারা অশরীর আমার
গড়িয়ে পড়ছি এবং
মোহনাবিলাপ...
ভয়ানক সমুদ্র সামনে।
আবার যখন উল্টোদিকে
হতাশায় বা উল্লাসে গা ঢাকা দিয়ে চলা,
পাহাড়ি পথ,
কিছু মেঘসাজ তুলে রাখি।
উজানমুখী এই নদীকে দেখলে মনে হয়--
মর্ত্যের বাইরে শরীর আমার
বিপথে আমি এবং
আঘাত আর জলীয়ব্যথা,
ভয়ানক পাহাড় সামনে।
দূরে থেকেই দূরত্ব বোঝে শরীর,
এমন দূর থেকে দেখি গন্তব্য স্থির
অথচ অস্থিরতা সেখানেও !
আমি'র ভেতর এক পৃথিবীর জন্ম যদি
এক পৃথিবীর মৃত্যু দেখি রোজ।
ভেতর আমার
 
অনেক আমি
আমার আমি
একটি নদী বহন করি,
একটি নদী বহন করি বলেই
গতিশীলতা শেখায় গতি এবং
 
ভেতর জানে, পথিকের ক্লান্তি নেই।


কোন মন্তব্য নেই: