“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২

বেদব্যাস উবাচ


 ।। সপ্তর্ষি বিশ্বাস ।।


(C)Image:ছবি














"কে বলল যে একলব্য স্ব ইচ্ছায় বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কেটে

দিয়েছিল গুরুদক্ষিণা? দ্রোণ তার গুরু হল কবে?
হ্যাঁ, নিজহাতে আঙুল কেটেছিল, ঠিক। তা নাহলে
দ্রোণ নিজে কিংবা অর্জুন কিংবা তাদের কোনও
কেনা গুণ্ডা কেটে ফেলত। হয়তো আঙ্গুলই শুধু নয়

একলব্যকেই। ঠিক যেমন পূর্ব বাংলার তাঁতিদের ধরে

আঙুল কেটে দিয়েছিল বিলাতি বাণিয়ার দল
ম্যানচেস্টার ও রানিমার দক্ষিণা হিসাবে কিংবা যেমন
এখন বুলডোজারে উপরে ফেলা হচ্ছে নিয়ত
যারাই করছে ট্যাঁ-ফু রাজা, রাজত্ব আর রাজকার্য নিয়ে।
#
হ্যাঁ, স্ব ইচ্ছায় একলব্য বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কেটে
দিয়েছিল গুরুদক্ষিণা -- আমিই লিখেছি।
না লিখলে আমার আঙ্গুলও কবে
কাটা যেতো আর এই মহাকাব্য টাব্য কিছু
লেখাই হতোনা।"

https://amarsonarbanglaamitomaybhalobasi.blogspot.com/2022/07/blog-post_30.html


কোন মন্তব্য নেই: