“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

কবিতার জন্ম


।। শিবানী দে।।









বিতার জন্ম হবে। শরীরী তরঙ্গে
রাগমোচনের মত আর্ত শীৎকারে
মধুরতা মেশা তীব্র বেদনার ভারে
প্রসবের সর্বশক্তিপ্রযুক্ত প্রশ্বাসে
কবিতা, আমার প্রেম, আমার সন্তান জন্ম নেয়।
প্রসূতির মৃদু হাসি প্রশান্তির, নিমীলিত চোখ।
তারপর চোখ খুলি,  
মুগ্ধতায় শত রঙে, আভরণে সাজাই,
সে যে আমার, একান্ত আমারই।
সময় এগোলে
কোথাও সন্দেহ ডানা মেলে
অতৃপ্ত চোখে দেখি তার দিকে
হয় নি, হয় নি যেমনটি চেয়েছি সেইমত , 
নির্মম সংশয়ে কাটি, ছিঁড়ি, তার খসাই ভূষণ ।  
আনন্দ পারেনি যাকে সংশয় করবে তাকে পুনর্সৃজন?





কোন মন্তব্য নেই: